![]() মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর
Published : Friday, 10 November, 2017 at 5:28 PM
|
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অপরিছন্ন চিত্র সামনে চলে এসেছে। আমরা অনেক সময়ই শুনে থাকি, ভদ্রলোকেরা রাজিনীতিতে আসে না। এর কারণ একে অপরের দিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ির সংস্কৃতি যা আজকাল আমাদের রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্যে রূপান্তরিত হয়েছে। অশালীন বক্তব্য প্রদান ও নেতিবাচক সমালোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল একে অপরকে ছোট করার চেষ্টা করছে। ক্ষমতাসীন সরকারী বা বিরোধী দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক মূল্যায়ন হওয়া খুবই জরুরী। কিন্তু যদি মূল্যায়ন বা সমালোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু বের না হয়ে আসে, তবে তা বাহুল্য ও বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান সময়ের রাজনীতিবিদদের ভেতরে অপরিসীম অবিশ্বাস ও শত্ত্রুতার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সর্ববৃহৎ বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে একে অন্যের সুনামহানি ঘটানো। বিএনপির নেতারা রীতি অনুযায়ী সরকারের সকল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে যাচ্ছে এবং তা ও কোনো গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় নয়। তারা ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কিন্তু জনগণের কোনো সমস্যা নিয়ে তাদেরকে কথা বলতে দেখা যায় না। সম্পূর্ণ নিজস্ব সাংগাঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি রাজপথে নামতে পারছে না। কিন্তু তারা পুলিশি ধরপাকড় ও নৃশংসতাকে এর জন্য দায়ী করে থাকে। এরপরেও সরকারের সমালোচনা করতে তাদের কখনো ভুল হয় না এবং প্রতিনিয়তই তারা সরকার পতনের ফাঁকা হুমকি দিয়ে যায়। এ ধরণের কর্মকাণ্ডে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা ক্রমাগতই নিজেদেরকে ভুল ও ভঙ্গুর প্রমাণ করে চলেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনুপস্থিতির কারণে বিএনপি মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে তারা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে আজকে তাদের তথাকথিত গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন বা কর্মকাণ্ড একটি দুর্বল ফাঁকা বুলিতে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি একটি বিবৃতি প্রদান করে থাকে। ক্ষমতাসীন সরকারি দলের নেতাদের অসম্মান করা এবং বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্নকে তরতাজা করাই ওই বিবৃতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জণগণের কল্যাণ নিয়ে কখনোই খুব একটা চিন্তিত মনে হয় না। বাস্তবতা হচ্ছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে দলের বিভিন্ন পদ ও সেসব পদে অধিষ্ঠিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দৃশ্যমান দ্ব›দ্ব রয়েছে, যাতে দলের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়েছে। এর ফলে বিএনপির আন্দোলন ও কার্যক্রম অনেকটা স্তিমিত হয়ে সরকারের সমালোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। তাদের নেতারাও বিরোধী দলগুলোর প্রতি অত্যন্ত অসম্মানজনক আচরণ করে থাকে। তারা প্রায়শই বিরোধী নেতৃবৃন্দকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে যদিও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে যথেষ্ট সংযত। তিনি তার প্রতিপক্ষকে বিশেষত বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এমন উদাহরণ খুব কমই আছে। বরং শেখ হাসিনা গঠনমূলকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির অপবিত্র জোট গঠনের সমালোচনা করেছেন। কারণ, এই সেই জামায়াত, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকলীন মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং পরবর্তীতে তাদের নেতাদের ফাঁসিকাষ্ঠ থেকে রক্ষার অপচেষ্টার জন্য সকলের কাছে পরিচিত। সত্যিকার অর্থে বর্তমানের রাজনীতির রূপরেখা বিএনপি-জামায়াত জোট গঠনের মাধ্যমেই অংকিত হয়। এরপরেই রাজনৈতিক দুই পক্ষের মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বাদানুবাদ অতি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়। এবং এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোনো সুখকর বার্তা বয়ে আনেনি। বরং এটি যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে রাজনীতিতে আসতে অনুৎসাহিত করে। কিন্তু যদি তারা রাজনীতিতে যোগ দিতেন তবে বাংলাদেশের মানুষ তার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হতো। সারা বিশ্বজুড়েই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিবাদ রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সংসদে একে অপরের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তকে গঠনমূলকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে এবং প্রতিটি নতুন আইন প্রণয়নের আগে সেই আইনের পক্ষে-বিপক্ষে শক্ত বিতর্ক হয়ে থাকে। মতবিরোধ থাকেই কিন্তু তা সংসদেই সমাধান হয়ে যায়। কোনো মতবিরোধই অশালীন কর্মকাণ্ড বা আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পর্যন্ত গড়ায় না। দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ বাদে অন্য কোথাও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে হেয় করার চেষ্টা সাধারণত দেখা যায় না। এর মধ্যে সবচেয়ে নোংরা কাঁদা ছোড়াছুড়িটা আমরা গত আমেরিকান নির্বাচনের সময়ে দেখেছি যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী শিবির, উভয়েই একে অপরের উপরে সম্পূর্ণরূপে চড়াও হয়েছিল। এবং এটা ঘটার পেছনে কারণ ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু কার্যক্রম ও মন্তব্য। এই ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু কখনোই পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ ছিলেন না এবং সেই প্রতিভাও তার মাঝে বিরল বলেই মনে হয়। এইসব কিছু ঘটনা বাদে বিতর্কগুলো এবং বিবাদগুলো সব সংসদেই হয়েছে এবং কখনোই তা ওই ভবনের বাইরে আসেনি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও রাজনৈতিক শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। যেমন, ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত সোচ্চার এবং তারা প্রতিপক্ষের কোনা ধরণের দুর্বলতা বা ভুল খুঁজে পেলে তার সমালোচনা করতে পিছপা হয় না। কখনো কখনো অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর ফাঁস হয়ে নানান ধরণের স্ক্যান্ডালও উন্মোচিত হয়ে থাকে। যখনই এমন হয় তখন বিরোধী দলগুলো যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্নীতি হয়েছে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু এই আক্রমণগুলো কখনোই ব্যক্তিগত হয় না। এতোবড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রাজনৈতিক হত্যা ও প্রতিহিংসা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। দুইটি মূল দল কংগ্রেস ও বিজেপি অত্যন্ত উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও প্রচণ্ড সহনশীলতা দেখিয়ে থাকে। তারা সংসদের পবিত্রতা বা মর্যাদা, সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা এবং জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই এই সহনশীলতা প্রদর্শন করে থাকে। বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষার লোক থাকার পরেও তাদের এই রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যই ভারতের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র কিন্তু সবসময় এরকম ছিল না। আদর্শগত ও মতের পার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল। আর এই আদর্শগত পার্থক্য মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে মওলানা ভাসানীর প্রতি যে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন তা ইতিহাস সবসময় সোনালি হরফে লিখে রাখবে। জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তাও ইতিহাস সবসময় মনে রাখবে। আসলে ওইগুলোই ছিল রাজনীতির প্রকৃত সৌন্দর্য। যখন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। ন্যায্য সুযোগভিত্তিক রাজনৈতিক সম্প্রীতি তখনও বিদ্যমান ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি তাদের সদ্য গঠিত জোটকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করে। এই জোটের অন্যতম সদস্য ছিল জামায়াতে ইসলাম। এই মৌলবাদী দলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাতে পশ্চিম পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিল। জামায়াতের উপরের দিকের অনেক নেতাই যুদ্ধপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং তার জন্য পরবর্তীতে তাদেরকে বিচার করা হয়েছে এবং ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুঁলানোর মতো কঠিন শাস্তিও দেয়া হয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াতের প্রবেশ এবং তাদের দু’জন নেতার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতি নোংরা হতে শুরু করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। যদিও সেই হামলায় তিনি বেঁচে যান, তবে আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক দফতরের প্রধান আইভি রহমানসহ সেদিন ২৩ জন প্রাণ হারান এবং আরো প্রায় দুই শতাধিক গুরুতরভাবে আহত হন। এই ঘটনাটি বিশ্বাসঘাতকতা ও অবিশ্বাসের বীজ বপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করে দেয়। অভিযোগ মতে, এই ঘটনাটি বিএনপির একটি বিশেষ উদ্দেশ্যপূরণের জন্য জামায়াত সংঘটিত করে। এরপরে ২০০৭ এবং পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে তাদের একটি নতুন চেহারা উন্মোচিত হয় যা থেকে এমনকি তাদের নিজ নিজ দলের প্রতি আনুগত্যও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসে এবং এখন পর্যন্ত পর পর পাঁচ বছরের দুই মেয়াদে তাঁর সরকার ক্ষমতাসীন আছে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে আগামী সংসদীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। গত আট বছর ধরে জাতীয় সংসদ একটি একদলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে উপস্থিত থাকলেও তারা অত্যন্ত নিস্ক্রিয় এবং অল্প কিছু সংসদ সদস্য নিয়ে তাদের তেমন কিছু করাও সম্ভব নয়। বিএনপি ও তার শরীক দলেরা বেশ কয়েকবার তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে রাজপথে নামার চেষ্টা করলেও পুলিশ বারে বারে তাদের সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে যে কোনো বিষয়ে দোষারোপ ও প্রতিপক্ষকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক রুক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির চিৎকারকে খুব একটা মূল্যায়ন না করে বরং আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো টানা ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে বেশী মনোযোগী। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে উন্নয়নের বেশ কিছু সূচকে আমরা দ্রুত প্রভূত উন্নতি সাধন করেছি। বছরের পর বছর ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার মাধ্যমে সারা বিশ্বের সামনে নিজেদেরকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছি। অনেক প্রতিক‚লতার মধ্য দিয়েও আমাদের উন্নতির জন্য আমরা বিশ্ব দরবারে ব্যাপক প্রশংসা ও করতালি লাভ করতে সফল হয়েছি। কিন্তু একটি জিনিসের অভাব আমাদের রয়েই গেছে, আর তা হলো সুস্থ রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সম্প্রীতি। যদি রাজনৈতিক সম্প্রীতি স্থাপন করা সম্ভব হয়, তবে তা আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশের বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। বিশেষত, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন থেকেই সহনশীলতার চর্চা করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনের সময়ে ব্যাপক সহিংসতার সম্ভাবনা রয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক শান্তি একটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত কারণ তা যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রেখে থাকে। বাংলাদেশ এখন ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ –এর লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহমত থাকলে এবং বাংলাদেশের কল্যাণই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্যগুলো পূরণে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা রেষারেষির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন এবং দেশের উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করে যাবেন। মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর: সাংবাদিক |