মেগাসিটি ঢাকা: ইতিহাস ও ঐতিহ্যের টিকে থাকার সংগ্রাম
Published : Saturday, 6 January, 2018 at 4:50 PM
|
![]() মোঘল আমলে ঢাকা একটি প্রধান বাণিজ্যিক সামাজ্র্যে পরিণত হয়। এতে করে এখানে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। পাশাপাশি শিক্ষারও ব্যাপক প্রসার লক্ষ করা যায়। এছাড়াও মোঘল শিল্পকলার উৎকর্ষ সাধনেও বেশ অগ্রগতি এই ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করেই ঘটেছিল। মোঘলেরা অনেক মসজিদ, প্রাসাদ, বাজার এলাকা ও বাগান তৈরি করে। এখনও অনেক ঐতিহাসিক ভবন ঢাকার বুকে সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। মোঘল আমলে ঢাকার এমন উন্নতির কারণে ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে ১৯৬৬ সালে একটি বাণিজ্যিক ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৭০৪ সালে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরের আগপর্যন্ত ঢাকা মোঘলদের রাজধানী ছিল।
১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের প্রথম দিকে ব্রিটিশ শাসনামলে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নও শুরু হয়। ব্রিটিশরা দেড়শত বর্ষ ধরে এ অঞ্চল শাসন করেছিল। ১৮৮৭ সালে ঢাকা বাংলা জেলার রাজধানী নির্বাচিত হয়। ব্রিটিশ বাংলার প্রথম বিভক্তির পর এটি ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়।
নতুন নতুন সরকারি ভবন, গির্জা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক কলোনী প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ঢাকা একটি বিশাল সম্ভাবনার শহরে পরিণত হয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে শ্রেণী ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ঢাকা সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে নিজের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করে। গোড়াপত্তনের শুরু থেকেই ঢাকা এই অঞ্চলের বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি ও শিল্পকলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান শহর হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঢাকা খুব দ্রুত ১৯ মিলিয়ন মানুষের শহরে পরিণত হয়েছে। এর জনসংখ্যা পৃথিবীর ১৭৪টি দেশের থেকেও বেশী। বাংলাদেশের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র এই শহর। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরসমূহ, সর্বোত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো, সর্বোত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র এবং বহু কলকারখানা ও শিল্পভবন ঢাকা শহরের ভেতরেই অবস্থিত। এর ফলে সারাদেশ থেকে লোকজন নানা কারণে এই শহরে আসে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পেশাগত বা শিক্ষার প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে এখানে বসবাস শুরু করে যা এই শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে যাচ্ছে।
ফ্লাইওভার, ফুটওভার ব্রিজ, আকাশচুম্বী ভবন, নতুন নতুন রাস্তা এবং হাতিরঝিলের মতো বিনোদনকেন্দ্র গত দুই দশকে ঢাকা শহরের ছবিটাকে অনেক পাল্টে দিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমিত স্থানে এই ক্রমবর্ধমান বিশাল জনসংখ্যার কারণে ঢাকা বসবাসের জন্য প্রতিদিনই কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক বসবাস অনুপযোগী শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশাল জনসংখ্যার দরুণ পরিবেশের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নানা ধরণের অসামঞ্জস্য ঢাকাকে এই অনাকাঙ্খিত স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ এবং ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের জন্য ঢাকা শহরের টিকে থাকা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা ইতিমধ্যেই এই শহরের পেছনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছি। আর ঢাকার টিকে থাকার জন্য একে ঘিরে থাকা চারটি নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর টিকে থাকা অত্যাবশকীয়।
এই চারটি নদীর বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। এককালের উঁচু উঁচু উত্তাল টেউয়ে ভরা নদীগুলো এখন শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্য ধুঁকছে। এদের মধ্যে বুড়িগঙ্গার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই প্রধান নদীগুলোর সংরক্ষণের জন্য পরিবেশবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে আসছেন কিন্তু তারপরেও এটি হয়নি। জৈবিক ক্ষুদ্র জীবানু এবং পানির সাথে মিশে থাকা ক্ষয়বিহীন ভারী ধাতুর কারণে এই নদীগুলো অত্যন্ত দূষিত।
একটি বেসরকারি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ল্যাবরেটরী প্লাজমা প্লাস এবং একটি এনজিও ব্রতী কর্তৃক ২০১৬ সালে আয়োজিত ’ঢাকার আশপাশের প্রধান নদীগুলোর দূষণ প্রোফাইল’ শীর্ষক সেমিনার থেকে প্রকাশিত হয় যে, পানির অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, দূষণমুক্ত করার পরেও এই নদীগুলোর পানি পানযোগ্য করা সম্ভব নয়। এই পানি এমন কি কৃষিকাজেরও যোগ্য নয়। তাদেরকে ‘হলুদ’ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হয়। যার ফলে এই পানি সর্বোচ্চ শুধুমাত্র বিনোদন ও গবাদিপশুর প্রয়োজনে ব্যবহার করা সম্ভব।
এই নদীগুলোর তীরে রাজনৈতিক পান্ডাদের প্রভাবে অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাজারও কলকারখানা, ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। এসব কলকারখানা ও ভবনের দরুন এই নদীগুলোর চারপাশের এলাকায় ভারী জনবসতি গড়ে উঠেছে। বিপত্তিকর ও বিষাক্ত কলকারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক দ্রবাদি মাঝেমাঝেই এই নদীগুলোতে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তার ফলে পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়।
এর পাশাপাশি প্রচুর মানুষের চিন্তাভাবনাবিহীন ব্যবহারের দরুন মানুষের বর্জ্য, ময়লা- আর্বজনা এবং ধোলাইকারী দ্রবাদির দ্বারাও এই নদীগুলো দূষিত হয়। শুধুমাত্র তুরাগ-বালু নদীর অববাহিকা ঘেষে ত্রিশ হাজার কলকারখানা তাদের অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশিত করে। এছাড়াও প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক কোনো পরিশোধন ছাড়াই পানিতে বর্জ্য নিষ্কাশন করে। এর সাথে উঁচু এলাকা থেকে কৃষিবর্জ্যও নেমে আসে।
এই চারটি নদী ক্রমাগত বালু উত্তোলনের দ্বারাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত নগরায়ণ ও ঢাকা শহরের বর্ধণের কারণে বালু সংগ্রহ ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। অনেক খাল ও নিচু ভেজা জমি স্থাপনা তৈরির জন্য বালু দিয়ে ভরে ফেলা হচ্ছে কিন্তু এর ফলে এই নদীগুলোর প্রবাহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই সাথে মানুষেরা অধিক হারে নদীভিত্তিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তারা তাই নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আর এর ফলে প্রবাহ ও পানির গুণাগুনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রচুর অবনতি ঘটে।
ঢাকা শহরের অস্তিতের জন্য একে ঘিরে থাকা নদীগুলো গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই নদীগুলোর প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যহত হয় এবং নদীর ধার ঘেষে অবৈধ দখলদারিত্ব দূর না করা হয় তবে তা গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এর সাথে সাথে যদি ঢাকা শহরের ৫৭টি খাল ও দখলমুক্ত না করা হয় তবে এ শহরে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন; বন্যা, জলাবদ্ধতা এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও ঘনীভূত হবে।
মানুষ ও পানির জীবদেরকে বিষক্রিয়া থেকে বাঁচানোর জন্য এই নদীগুলোর পানির দূষণ অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। যদি আমরা এই নদী ও খাল গুলোকে রক্ষা করতে পারি শুধুমাত্র তবেই ঢাকাকে আমাদের রাজধানী হিসেবে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
ঢাকার নাগরিকদের জীবন নানা রকম সমস্যায় বিপর্যস্ত যার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে যানজট। ক্রমবর্ধমান যানজটের কারণে যানবাহনের ধীর গতির দরুণ বছরে আমাদের শুধুমাত্র জ্বালানিখাতে ৩৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এই যানজট মারাত্মক মানসিক বিপর্যয়েরও সৃষ্টি করছে। গুরুতর যানজটের কারণে অর্থনীতিও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ ঢাকা শহরে বসবাসের দুটি প্রধান সমস্যা। সরকার ও বিশ্ববাংকের যৌথ অর্থায়নে ‘বায়ুর গুণাগুণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ অনুসারে ঢাকার বায়ুর খারাপ গুণমানের কারণে বাৎসরিক ২৫,০০০ অপ্রাপ্ত বয়স্ক মৃত্যু এবং লক্ষ লক্ষ পালমোনারি, শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত ও স্নায়ুঘটিত অসুস্থতার ঘটনা ঘটে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে যানবাহনের কারণে হওয়া বায়ুদূষণ শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত শারীরিক সমস্যার প্রধান কারণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মতানুসারে আমাদের আকাঙ্খিত শব্দের মাত্রা মাত্র ৪৫ ডিবি কিন্তু ঢাকা শহরের যেকোনো রাস্তায় শব্দের মাত্রা ৬০-৮০ ডিবি। এটি ঢাকার নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা ঝুঁকি তৈরি করে। ইদানিং বাংলাদেশ পুলিশ ১০০ ডিবি মাত্রার শব্দ উৎপাদনক্ষম শব্দ উৎকীরণ যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছে যার মাধ্যমে তারা বিক্ষোভকারীদের বিশৃঙ্খল করার কাজ করছে। এটি সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা না করে বিবেচনাহীন একটি গুরুতর কর্মকান্ড যা কখনোই একটি সভ্য দেশে হতে পারে না।
খাদ্য নিরাপত্তা ও সম্পর্কিত বিপত্তি এ্ই শহরের একটি বড় সমস্যা। ১৮ শতাংশ পাঁচ বছরের নিচের শিশুমৃত্যু ও ১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মৃত্যু অনিরাপদ খাদ্য খাবার কারণে হয়ে থাকে। সংস্কৃতির পরিবর্তন আরেকটি বিরাট সমস্যা। বিশেষত যুবসমাজের জন্য এই সমস্যাটি অত্যন্ত প্রকট কারণ তারা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির খারাপ দিকগুলো থেকে প্রভাবিত হয়ে অত্যন্ত উগ্র ও আক্রমণাত্মক হয়ে গেছে। এর উপর, মাদকের বিস্তৃত ব্যবহারও সারাদেশেই বিশেষত ঢাকায় একটি মারাত্মক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সকল সমস্যাই মেগাসিটি ঢাকার বিশাল জনসংখ্যা এবং দেশের সকল কার্যক্রম এই শহরকেন্দ্রিক হওয়ার কারণেই প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় চলে আসছে অথবা ঢাকার উপর দিয়ে চলাচল করছে। এই শহরের জনসংখ্যা এতোটা বেড়ে গেছে যে টেকসই ও সম্পূরক উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য এখন ‘নগর সরকার’ বিশেষভাবে প্রয়োজন। যদি তা হয় তবে এই সমস্যাগুলোতে দৃষ্টি নিবন্ধিত রেখে গুরুত্বসহকারে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০১১ সালে দুইটি সিটি কর্পোরেশনে বিভক্ত হয় এবং ২৮ এপ্রিল ২০১৫ সালে এই দুই সিটি কর্পোরেশনের জন্য দু’জন মেয়র বা নগর পিতা নির্বাচিত হয়। এই মেয়ররা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন যা ঢাকাবাসীর জীবনে কিছুটা স্বস্তির ছোঁয়া এনে দিয়েছিল। কিন্তু ৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ঢাকাবাসীর নানা বিপত্তি দূরীকরণে দূরদর্শি দর্শন নিয়ে কাজ করা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের অকাল প্রয়াণের মধ্য দিয়ে এই শহরবাসীর আশাগুলো এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীণ হয়েছে।
ঢাকায় বসবাসকারীদের স্থায়ী ও অস্থায়ী এই দুই শ্রেণীতে একটি ‘সিটি রেসিডেন্স কার্ড’ দিতে হবে। শুধুমাত্র যারা পরিবার নিয়ে ঢাকায় নূন্যতম পাঁচবছর ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তারাই স্থায়ী কার্ড পাবেন। অন্যদিকে যাদেরকে ঢাকায় ছয় মাসের উপরে থাকতে হবে তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে অস্থায়ী কার্ডের জন্য আবেদন করে তা নিতে হবে।
উন্নত বিশ্বে ‘সিটি রেসিডেন্স কার্ড’ অত্যন্ত ব্যাপকভাবে প্রচলিত। স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য নানা ধরণের সুযোগ-সুবিধা প্রণয়ন করতে হবে। অস্থায়ী বাসিন্দারাও কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। হোল্ডিং ট্যাক্স, সারচার্জ অথবা সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্সকেও এই ‘সিটি রেসিডেন্স কার্ড’-এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ‘সিটি রেসিডেন্স কার্ড’ ব্যতীত কেউ ঢাকায় বসবাস করতে পারবে না। এতে করে আমরা ঢাকায় প্রকৃতপক্ষে কত লোক বসবাস করছে তা জানতে পারবো এবং তাদের প্রয়োজন ও সুযোগ- সুবিধার ব্যাপারে পর্যাপ্তভাবে লক্ষ্য রাখতে পারবো।
বিশ্বের একটি ঐতিহাসিক শহর ঢাকা আজকে টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে যদিও আমরা নাগরিকেরা এখনও তা বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমরা অবশ্যই চাই যে, আমাদের এই প্রিয় শহর টিকে থাকুক কারণ তা শুধুমাত্র আমাদের অর্থনীতিই নয় বরং গোটা দেশেরই উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ঢাকাকে তার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে নিয়ে টিকে থাকতে হলে আমাদের এখনই কিছু দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই আমরা এই মেগাসিটির প্রতি পরিকল্পিত দৃষ্টি দেয়ার জন্য সরকারকে আহবান জানাই।
লেখক : প্রধান সম্পাদক, মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)
|