জলাবদ্ধ ঢাকা : প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের এখনই সময়
Published : Tuesday, 21 November, 2017 at 6:10 PM
মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর

বাংলাদেশের মতো কৃষিনির্ভর দেশে বৃষ্টি একটি আশীর্বাদ। কিন্তু গুটি কয়েক সমস্যার কারণে বৃষ্টি প্রতি বছরেই ঢাকাবাসীর জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে আনে। অল্প একটু বৃষ্টিতেই ঢাকার রাস্তাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে এই নগরবাসীর জন্য তা চরম বিপত্তির সৃষ্টি করে। মূলত ঢাকা শহরের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা নেই। এই পানি যাবারও যেন কোন জায়গা নেই। তার উপরে, ময়লা আবর্জনা ও স্যুয়ারেজের পানি এই আবদ্ধ পানির সাথে মিশে গিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।

এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রদর্শণ করে বাংলাদেশে ও আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বৃষ্টির মৌসুম বেশ কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়েছে। এই বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার দরুণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে করতে হয়েছে। যদিও শীতের মৃদু আগমনে আপাতত এই দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটেছে। বর্ষার মৌসুম পেরিয়ে বছরের শেষ প্রান্তে এসে দুর্ভোগের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মনে রেখে সরকার যদি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় সুব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে ঢাকা মহানগরীর জনগণকে আগামী বছরেও সীমাহীন কষ্ট আর দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হবে।

যদিও আমরা বাংলাদেশকে সমতল ভূমি বলেই জানি, প্রকৃতরূপে আমাদের ভূমি ধারাবাহিকভাবে উঁচু-নিচু। আমরা যদি আমাদের রাস্তাগুলোর দিকে তাকাই তাহলেই এর প্রমাণ পাবো। কারণ আমাদের রাস্তাগুলো সারা দেশ জুড়েই ক্রমাগত উঁচু-নিচু ধরণের।

নতুন নতুন উঁচু ভবন, নতুন অফিস-আদালত এবং প্রচুর নতুন নাগরিক আগমনের মাধ্যমে এ মহানগরী দ্রুত বেড়ে উঠছে। যখনই আমাদের কোন ভবন বা স্থাপনা তৈরি করতে হয় তখনই রাজউক যা পূর্বে ডিআইটি হিসেবে পরিচিত ছিল তার থেকে নকশা অনুমোদন করে নিতে হয়। এই নকশা ভবনের উচ্চতা নির্দিষ্ট করে দেয় কিন্তু এটা বলে দেয় না যে, কোন স্তরে (রাস্তা বা সমুদ্রের স্তরের অনুপাতে) ভবনটি নির্মাণ করতে হবে।

এ নগরীর ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় রাস্তা তৈরিতে স্তর বা লেভেল সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোন বিধিমালা নেই। তাই, অনেক ভবনই রাস্তার স্তর বা পানির স্তর থেকে নিচে গড়ে উঠছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাস্তা তৈরির আগেই দু’পাশের ভবনগুলো গড়ে উঠে। এর ফলে এই ভবন বা রাস্তাগুলো খুব সহজেই পানির স্তরের নিচে চলে যায় এবং বৃষ্টির পানি আবদ্ধ হয়ে রাস্তা এবং ভবনের মাঝে প্রবাহিত হয়। পানি গড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ না থাকায় তা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যদি রাস্তাগুলো ও ভবনগুলো একটি উঁচু স্তরে তৈরি করা হয়, তবে তা সাধারণভাবেই আশেপাশের খালগুলোর গভীরতা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং সরকারের তেমন কোনো প্রয়াস ছাড়াই ঐ খালগুলো অনেক বেশী পানি ধারণ করতে পারবে।

কিন্তু আমরা পানির স্তরের নিচেই অনেক স্থাপনা দেখে থাকি। বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে নিচুভূমিতে থাকা একটি দেশ; যেখানে উপর থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে আমাদের পানির স্তরে যুক্ত হয়। এতে করে নিচু স্তরে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলোর সবসময়ই পানির নিচে চলে যাবার ঝুঁকি থাকে। তাই যে স্তরে বাড়ীঘর তৈরি করলে এ সমস্যার সমাধান হয় তা রাজউককে নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে শুধুমাত্র নাগরিকদের জীবনযাত্রাই সহজ হবে না বরং বৃষ্টির পানি ধারণে আরও বেশী স্থান সৃষ্টি হবে। একটি ভবনের উচ্চতা কতটুকু হবে তা নির্ধারণ না করে বরং তার বদলে কোন স্তরে একটি ভবন তৈরি করতে হবে সেখানে গুরুত্ব আরোপ করার সময় এখন এসেছে।

জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ঢাকা শহরকে ঘিরে থাকা ৪টি নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী ছাড়াও চিহ্নিত ৫৪টি খালের যথাযথ ব্যবহার হওয়া খুবই জরুরি। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী ২৬টি খাল পুনরুদ্ধার করা দরকার। এর বেশীরভাগই শক্তিশালী রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ভূমিদস্যুদের দখলে এবং হাজার হাজার স্থাপনাও এ গুলোর উপরে ও আশেপাশে গড়ে উঠেছে।

এই খালগুলো পুনরুদ্ধার ছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকা শহরে মারাত্মক জলাবদ্ধতা এড়ানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমদের প্রিয় নগরীতে বৃষ্টির দিনে আজকাল যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তার জন্য অনেকাংশেই এই খালগুলোর বেদখল হয়ে যাওয়াটাই দায়ী।

বাস্তবে এই খালগুলোর খুব কম সংখ্যকই বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে। আর এই স্বল্প সংখ্যক খালের দৃশ্যমানেরও কারণ হচ্ছে যে, দখলদার শক্তি এখনও এই দৃশ্যমান খালগুলোকে ভরাট করে ফেলেনি তাই। কিন্তু এই স্বল্প সংখ্যক খালগুলোতেও পানির কোনো প্রবাহ নেই। ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন স্থানে এই খালগুলোর পানি প্রবাহকে আটকে ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় ময়লা আবর্জনাই এখন এই খালগুলোতে পানির জায়গা দখল করে নিয়েছে এবং এমনভাবে আটকে গেছে যে পানির অনেক জোরালো চাপও এখন আর কোনো প্রবাহ তৈরি করতে সক্ষম হয় না।

এছাড়াও খালের মুখে যেখানে পানিকে দ্রুতবেগে বের করে দেয়া হয়, সেই স্থানগুলোতেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই পানির সচল প্রবাহের জন্য এইসব ময়লা আবর্জনা খুব দ্রুত পরিস্কার করা দরকার। এর সাথে দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোকে উদ্ধার করতে হবে। অবশ্য এই দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর উপরে অনেক স্থাপনা রয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরকে বাঁচানোর নিমিত্তে ঐসব অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে খালগুলোর পুনর্দখল নেয়া অত্যাবশকীয়।

ইউএনডিপি ও ইউএনসিএইচ-এর কারিগরী সহায়তায় রাজউক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘ঢাকা মেট্টোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ১৯৯৫-২০১৫’-তে বন্যা নিয়ন্ত্রণকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা শহরকে ঘিরে থাকা চারটি নদীর কূল ঘেষে ৩০টি বন্যা ধারণকারী পুকুর (ফ্লাড রিটেনশন পন্ড) তৈরি ও সংরক্ষণ করার কথা উল্লেখ ছিল।

একই সাথে এটিও উল্লেখ ছিল যে, ডিএমডিপি গঠন পরিকল্পনায় বন্যা ধারণকারী পুকুরের জন্য নির্ধারিত জায়গাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যাতে করে এগুলো বন্যার সময়ে পানি জমা করে রাথার প্রাথমিক কাজটি নিশ্চিত করতে পারে।

এই পুকুরগুলোর বেশিরভাগই একসময় ব্যক্তিমালিকানাধীন ছিল। প্রধানত সেগুলো কৃষিকাজে ব্যবহৃত হতো। কারণ, এই জমিগুলো ছিল ঢাকা শহরকে ঘিরে থাকা সবচেয়ে নিচু জমি। অন্যত্র সরকারি জায়গার বিনিময়ে ঐ জমিগুলো ব্যক্তিমালাকানা থেকে উদ্ধারের জন্য বিস্তৃত দিক নির্দেশনাও ঐ পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত ছিল যাতে পুকুরগুলো স্থাপনের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

ঐ পরিকল্পনায় কিছূ মৌজাকে স্থাপনা তৈরির জন্য নিষিদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করাসহ বিশদভাবে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় কোনো ধরণের ভবন বা স্থাপনা তৈরি করাকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো সত্যি যে, সেই নিষেধাজ্ঞা আদৌ কার্যকর হয়নি। বরং ঐ পরিকল্পনার বাস্তবায়নে দেয়া সেই নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ঐ জায়গাগুলোতেই তৈরি হয়েছে অনেক ভবন বা স্থাপনা। এক্ষেত্রে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এই পুকুরগুলো বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির জলাধার হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও সারা বছরই ঢাকা শহরের অতিরিক্ত পানি ধরে রাখবে। পরবর্তীতে যখনই শহরের পানির স্তর, এই পুকুরগুলোর পানির স্তর থেকে নিচে নামবে অথবা পুকুরগুলোর পানি ধারণক্ষমতা থেকে বেড়ে যাবে, তখন শুষ্ক জমি বা নদীতে সেই অতিরিক্ত পানি পাম্প করে ছেড়ে দেয়া সম্ভব। এছাড়াও এই পুকুরগুলো থেকেই পানি বাষ্পায়িত হবে এবং একইসাথে মাটি পানিকে শুষেও নিতে পারবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঐ পুকুরগুলোকে ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি এবং এদের জমিগুলো এখনও পুরোনো মালিকদেরই মালিকানাধীন অথবা কুচক্রী মহলের দখলে। এই পুকুরগুলো থাকলে ঢাকা শহরের বন্যার পানি খুব দ্রুত সরে যেতো এবং বড় ধরণের জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাওয়া যেত। পুকুরগুলোর অবস্থান নদীর অববাহিকার কাছাকাছি হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির অতিরিক্ত প্রবাহ আটকাতেও এগুলো যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারতো। এই পুকুরগুলো স্থাপন, নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ ব্যতীত কোনোভাবেই স্হায়ীভাবে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার চিত্রের উন্নতি বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

ভারী বর্ষণের সময়ে পানি তিনভাবে সরতে পারে-গড়িয়ে যাওয়া, বাস্পায়িত হওয়া এবং মাটির শুষে নেয়া। পানি গড়িয়ে যাবার জন্য আমাদের ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যথাযথ রাস্তার স্তর চিহ্নিত করে তারপর বাড়ীঘর নির্মাণ করতে হবে এবং একই সাথে মুক্ত বন্যার পানি প্রবাহ এলাকারও দরকার পড়বে।

বন্যার পানি ধারণ করে দ্রুত বাস্পায়িত করার জন্য উন্মুক্ত স্থানের প্রয়োজন। জমি উন্মুক্ত ও কোনো স্থাপনা মুক্ত হলেই মাটি পানিকে শুষে নিতে পারবে। কিন্তু ঢাকার জন্য কোনো পদ্ধতিই সঠিকভাবে কাজ করছে না। ‘পানি সংরক্ষণ আইন ২০০০’ লঙ্ঘন করে খাল ও পুকুরগুলো ভরাটের মাধ্যমে সেখানে গড়ে উঠেছে নানান রকমের ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বহুতল ভবন।

রাজউক ঢাকা মহানগরীর জন্য একটি ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবাস্তবসম্মত পরিকল্পনার কারণে সঠিকভাবে খালগুলো চিহ্নিত হয়নি। বরং উল্টো এতে অনেক শুষ্ক ও উঁচু জমিও ভেজা বা নিচু জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। যদিও পরবর্তীতে একটি সচল ড্যাপ কমিটি থাকার পরেও রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই এই জমিগুলোকে নিচু জমির শ্রেণী থেকে সরিয়ে নেন।

এই পরিকল্পনাগুলো সাধারণ জনগণের কাছে সহজলভ্য নয়। যদি ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পানি সংরক্ষণ এলাকাগুলো প্রদর্শিত হয়, তাহলে লোকজন আর ঐ নির্দেশিত জমিগুলো কিনবে না বা ঐ জমির উপরে কোনো কিছু তৈরি করা থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তা না হওয়ায় ঢাকা শহরের খাল ও বন্যা ধারণকারী পুকুরগুলো এখন বিলীন হওয়ার পথে।

অন্যদিকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ‘স্থাপনা বিধি ২০০৮’ অনুযায়ী একটি ভবনের চারিদিকে কিছু জমি খালি রাখতে হবে যাতে ঐ কাঁচা মাটি পানি সহজেই শুষে নিতে পারে। কিন্তু এই দিক-নির্দেশনাগুলো বেশিরভাগ সময়েই ভবন মালিকেরা অবজ্ঞা করেন এবং কর্তৃপক্ষও এই আইনগুলো কার্যকর করতে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

যেহেতু মাটি পানি শুষে নিতে পারছে না তাই পানির স্তুরও দ্রুত নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। যা থেকে নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন, ভূমিকম্পের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হলো যে, এ ধরণের ঘটনাগুলো একটি সময়ে এসে ঢাকা শহরকে একটি পরিত্যক্ত শহরে পরিণত করতে পারে। যে কারণে প্রিয় এ শহর ঢাকা থেকে আমাদের রাজধানী অন্যত্র কোথাও সরিয়ে নিতে হতে পারে।

বন্যা কার্যক্রম পরিকল্পনা ও ড্যাপ অনুসারে ঢাকা শহরে ৫,৫২৩ একর সংরক্ষিত পানি ধারণ এলাকা, ২০,০৯৩ একর খাল ও নদী এবং ৭৪,৫৯৮ একর বন্যা প্রবাহ জোন থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। ফলশ্রুতিতে ঢাকা শহরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটিকে একটি বিশাল দুর্যোগে পরিণত করেছে।

যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে বিশ্বের অনেক শহর বর্তমানে মৃত। অনেক দেশ বাধ্য হয়ে তাদের রাজধানী পরিবর্তন করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরকেও একদিন এমনই ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে ঢাকা শহর বসবাস অনুপযোগী বিশ্বের অন্যতম শহরে পরিনত হয়েছে।

এখনই সরকারের বিস্তারিত কার্যকরী পরিকল্পনা, সকল রাজনৈতিক দলের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই একমাত্র ঢাকা শহরকে রক্ষা করতে পারে। এটি শুধুমাত্র বৃষ্টির দিনে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্যই নয় বরং এটি আমাদের সীমাহীন ভালোবাসা ও প্রচুর বিনিয়োগ করা রাজধানী ঢাকা শহরের টিকে থাকার প্রশ্ন। এজন্য সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। আগত শীত মৌসুমের কারণে এ সময়টিতে শুষ্ক ঢাকা শহরে এ সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পন্ন করার উপযুক্ত সময়ও এটি। তাই এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমেও ঢাকা নগরী এবং নগরবাসীর দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না। আর সেটি আমাদের কারোরই কাম্য নয়।

(সমাপ্ত)

লেখক: প্রধান সম্পাদক, মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)।

Similar Posts