মীর মোশাররেফ হোসেন (পাকবীর ) : বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন, অমীমাংসিত এবং ঘোলাটে অধ্যায় ৭ নভেম্বর। এ সময়ে ইতিহাসকে সব সময় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে; বিকৃত করা হয়েছে। আসল সত্যটা মানুষের কাছ থেকে আড়াল করার প্রয়াস হয়েছে। অনেকে এটাকে বলেন “কলঙ্কিত অধ্যায়’ কিংবা “মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ আবার অনেকেই বলেন ‘জাতীয় সংহতি এবং বিপ্লব দিবস’।
যারা বলেন ‘জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস’ তারাই বা কতটুকু সত্যাশ্রয়ী? তারা যদি সত্যাশ্রয়ীই হন তাহলে কেন তাদের আলোচনায় দিবসটির প্রধান কুশীলব কর্নেল তাহের উহ্য থাকেন?
জাতির জনক শেখ মুজিব রহমানের দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। আর সে সময়ে এর সদ্ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর কিছু ক্ষমতা-লোভী, উচ্ছৃঙ্খল সদস্যেরা। এরই পথ ধরে মাত্র ৭৮ দিনের ব্যবধানে ১৫ আগষ্ট থেকে ৭ নভেম্বরের কলঙ্কিত ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে ১৫ আগস্টে কেউ রক্ষা করার উদ্যোগ নেয়নি। যে বড় মাপের মানুষ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গেলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে, সে মহামানবকে প্রাণ দিতে হলো অসহায়ভাবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরও কিন্তু প্রচুর সময় ছিল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার। সরকারকে রক্ষা করা যেত এবং উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হতেন, যদি তিন বাহিনীর প্রধান সম্মিলিতভাবে খুনিদের বিরুদ্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করতেন।
কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে ওই নারকীয় ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে তিন বাহিনীর প্রধান খন্দকার মোশতাকের প্রতি তাঁদের আনুগত্য প্রকাশ করেন। মোশতাক আহমেদ এই পদে মাত্র ৮৩ দিন অধিষ্ঠিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি “জয় বাংলা” স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি “বাংলাদেশ বেতার” এই নাম পরিবর্তন করে “রেডিও বাংলাদেশ” করেন।
তার শাসনামলে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের সূচনালগ্নে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে । বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
অবশেষে মেজর ফারুক. মেজর রশিদ এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ-এর গড়া সরকার আরও একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ নভেম্বর, ১৯৭৫-এ ক্ষমতাচ্যুত হয়। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন জেনারেল খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম।
৫ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন। তাই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখেন। কর্নেল (অব: ) আবু তাহের সে সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক-অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক। ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর তাহের জানতে পারেন জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের বিদ্রোহের নির্দেশ দিয়ে তৎক্ষণাৎ চট্টগ্রামে থেকে ঢাকা রওনা হন, এ সময় তার সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের, জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। পাল্টা এই অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।
এরপর জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় উঠে আসেন। তিনি রহস্যজনক কারণে কর্নেল (অব: ) আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন। এতে ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। ধারনা করা হয় ৭ই নভেম্বরে কর্নেল তাহেরের জনপ্রিয়তা দেখে জিয়াউর রহমান শঙ্কিত ছিলেন। তাই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখার জন্যই তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন।
৭ নভেম্বরকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস” বলাটা কতটা যুক্তিসংগত। ক্ষমতা দখলের জন্য সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষী কিছু অফিসারদের পারস্পরিক হানাহানি এবং নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে বিপ্লব বলা চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা ওই সময়ের কিছু গোপন দলিল ও নথিপত্রের দেখা যায় যে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার ‘৭ই নভেম্বরের সিপাহী বিদ্রোহ’কে মূলত সিপাহীদের রুটি-রুজির প্রশ্নে অসন্তোষের ফল হিসাবে মূল্যায়ন করেছেন। মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান ছিলেন আরভিং জি. চেসল। তিনিও বিষয়টি সেভাবেই দেখেছেন। আর ৭ নভেম্বরকে সংহতি দিবস বলারও কোনো কারণ নেই, এদিন কার সাথে কার সংহতি হয়েছিল? জনগণের সাথে সিপাহীদের? ১৫ আগস্টের পর হতে সেনাবাহিনীতে যা হচ্ছিল জনসাধারণের পক্ষে জানা সম্ভবই ছিল না; জনগণ ছিল নীরব দর্শক। আর সিপাহীদের মধ্যেও কোনোপ্রকার সংহতি হয় নি, বরং এটা ছিল সিপাহীদের মধ্যে একটা অংশের বিদ্রোহ। ৭ নভেম্বরের পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার লিখেছেন, ‘ঢাকা সেনানিবাসে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। ক্ষুদ্র অস্ত্র (স্মল আর্মস) ও মর্টারের গোলাবর্ষণ চলে। সেনারা রেডিও স্টেশনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায়। একটি সংবাদপত্রের দপ্তরেও একটি ছোট সেনাদল দেখা গেছে। দূতাবাসের কাছেও গোলাবর্ষণের আওয়াজ মিলছে। আমরা মনে করি যে, সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী উপদলগুলো প্রকাশ্য সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এয়ারপোর্ট রোডে বসবাসরত একজন বাঙালি সহকারী একটি ট্রাক-বোঝাই সেনাদের স্লোগান শুনেছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন: জেনারেল জিয়া জিন্দাবাদ।’ সিপাহীদের মধ্যে যে সংহতি হয় নি তার প্রমাণ জেনারেল জিয়াউর রহমান তার পাঁচ বছরের শাসনামলে প্রায় ২১টি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২১টি অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে গেলেও ২২তম অভ্যুত্থানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর অধিকাংশই ছিল ১৯৭১ সালের সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সাথে সম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি।
৭ নভেম্বরের ঘটনা ‘বিদ্রোহ’ ছিল; কোনোমতেই ‘বিপ্লব’ নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১১ এবং ১২ই নভেম্বর দুটি বেতার ভাষণ দেন। এতে তিনি ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে সিপাহি-জনতার বিপ্লব বলে দাবি করেননি। বরং তিনি ওই দিন সেনাবাহিনীতে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির জন্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) দায়ী করেছিলেন।
জিয়া এ ভাষণে আরও বলেন, “তিনি একজন সৈনিক, রাজনৈতিক নন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সামরিক আইন তুলে নিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ’। তাঁর ভাষায়, এ সরকার ‘সম্পূর্ণরূপে নির্দলীয় ও অরাজনৈতিক। সেদিন তিনি ওয়াদা করেছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি নির্বাচন দিয়ে দ্রুত ব্যারাকে ফিরে যাবেন। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রদত্ত আরেকটি ভাষণেও তিনি একই কথা বলেন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, তিনি তাঁর কথা রাখেননি।
বরং তিনি তার রক্ষাকর্তা কর্নেল তাহেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলান। বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক এর কারণ হিসাবে তাহেরের জনপ্রিয়তাকেই কারণ বলে মনে করেন। সৈনিকদের মধ্যে তাহের জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতে জিয়ার কর্তৃত্বে আঘাত হানতে পারে বলেই তাকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাদের অভিমত।
“৭ নভেম্বর ১৯৭৫ -আলো থেকে অন্ধকারে পতিত হওয়ার কাহিনী” শীর্ষক কলামে কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহ্সান লিখছেন,
যে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আমরা পাকিস্তানে সংগ্রাম করেছি এবং সংগ্রামে জয়ী হয়েছি, সেই সামরিক শাসন আবার স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের জীবনের ধারাটাকে একেবারে ইতিহাস-বিরোধী একটি স্রোতে পরিণত করে দিল। ……৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এর কারণেই এ দেশে ইতিহাস বিকৃতির সূচনা হয় এবং এই দিনটি সুযোগ করে দেয় সেই পুরোনো পাকিস্তানি দোসরদের, যাতে করে তারা বাংলাদেশে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারে।
এসব কথা শেষ হওয়ার নয়। আমাদের আঁধার এখনো কাটেনি। যে আলোর ভুবন আমরা তৈরি করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দ্বারা, সেই ভুবনটি আঁধারে ছেয়ে গেছে ওই দিন, যেদিন খালেদ মোশাররফকে প্রাণ দিতে হলো এই স্বাধীন দেশে।কোনো দলিল নেই এবং কোনো প্রমাণ নেই যে কর্নেল তাহের এবং জেনারেল জিয়া চেষ্টা করেছেন খালেদ মোশাররফ ও তাঁর সহযোগীদের প্রাণে বাঁচাতে”।
একাত্তরের পরাজিত চক্রের সগর্ব প্রত্যাবর্তন এবং পুনর্বাসন ছাড়া এই বিপ্লবের আর কোন ফল অন্তত দৃশ্যত চোখে ধরা পড়ে না। পঁচাত্তরের নভেম্বরের অফিসার হত্যাকে যদি বিপ্লব বলে গ্লোরিফাই করা হয়, তাহলে মাঝে মাঝে এমন বিপ্লব করার মানসিকতা স্থায়ীভাবে দূর হবে কী করে? ২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া পিলখানা ঘটনার দিনও ‘সিপাহি জনতা ভাই ভাই’- শ্লোগান উঠেছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটারও কারণ ছিল রুটি-রুজির প্রশ্নে অসন্তোষ। যদি এ বিদ্রোহীরা সফল হতো এবং হাসিনা সরকারের পতন হয়ে পঁচাত্তরের মতো আরেকটি নুতন সরকার আসতো, তাহলে কি আমাদের জাতীয় জীবনে আরেকটি বিপ্লব-দিবস যোগ হতো!
এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপি যখন ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস’ বলে বগলবাজি করে তখন সেদিনের “জাতীয় সংহতি এবং বিপ্লবের” নামে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে কয়েক হাজার দেশপ্রেমিক সৈনিক ও অফিসারদের হত্যার দায়ও তাদের নেয়া উচিৎ। সঙ্গতভাবেই আরেকটি বিশেষ ট্রাইবুন্যালে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে বিএনপিকে। শীর্ষ নেতাদের দাম্ভিক এবং অশালীন বাক্যবানের কারণে জামায়াত যেমন গায়ে পড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি উস্কে দিয়েছিল। ঠিক তেমনি বিএনপির এই ‘জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস’ উদযাপনও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ৭ নভেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যার বিচারের জন্য উস্কে দিতে পারে। জামায়াত যদি সেসময় শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যকে দলীয় বক্তব্য নয় বলে ক্ষমা চেয়ে নিত তাহলে ৪৫ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি হয়তো তারা এড়িয়ে যেতে পারতো। বিএনপিও কিন্তু একই ধারায় ৭ নভেম্বর উদযাপন নিয়ে যতটা আস্ফালন করছে তাতে করে ভয় হয় যে, এই অতি আস্ফালন তাদের জন্য না বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সফল ভাবে করতে পেরে ক্ষমতাসীনরা এখন অনেক বেশি সাহসী। সঙ্গত কারণে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলটিকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন একটি মোক্ষম ইস্যু ক্ষমতাসীনরা ব্যবহারে কুণ্ঠাবোধ করবে না এটাই স্বাভাবিক। জামায়াত যে ভুলটি করেছিল সেই একই ভুল বিএনপি পুনরাবৃত্তি করবে না অন্তত এ বিশ্বাসটুকু সবারই রয়েছে। বিএনপির সময়োচিত বোধোদয় ঘটুক এবং জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জাতীয় ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দলটি আরো সক্রিয় ও বেগবান হোক এটাই দেশবাসী সকলের প্রত্যাশা।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জাতীয় শিশু সংগঠক এবং দেশের শীর্ষ গ্রুপ অব কোম্পানীর কর্ণধার।