
![]() বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় এ দেশের জনগণ তাদের নেতা বা প্রতিনিধি বাছাই করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় তাদের প্রার্থী প্রদান করে এবং জনগণ তাদের মধ্য থেকেই প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রার্থী দেয়, জনগণকে শুধুমাত্র তাদের মধ্য থেকেই প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই ভালো নেতারা এই প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন। টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য শুধুমাত্র জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই যথেষ্ট নয় বরং এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন ভালো প্রার্থীরাই জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়। যদিও এটি নিশ্চিত করা খুবই কষ্টসাধ্য কিন্তু সঠিক গণতন্ত্রের চর্চার জন্য এটি ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। সাধারণ ভাষায় একজন নেতা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যে একদল মানুষকে একটি লক্ষ্য অর্জনে প্রভাবিত করে। একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য মৌলিক প্রয়োজন হচ্ছে কোনো উদ্দেশ্য অর্জনে প্রথমে পদক্ষেপ নেওয়া এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যাতে করে অন্যরাও তাকে অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত হয়। একজন নেতা হতে হলে, একজন ব্যক্তির একটি লক্ষ্যের প্রতি সহজাত অঙ্গীকার থাকতে হবে। যাতে করে কেউ তাকে অনুসরণ বা সহায়তা না করলেও সে তার লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্য এগিয়ে যাবে। নেতৃত্বের দুটি মৌলিক ভিত্তি রয়েছে। একটি হলো, ব্যক্তিগত দূরদৃষ্টি অর্থাৎ নিজের লক্ষ্যকে অর্জিত অবস্থায় দেখতে পাবার ক্ষমতা যার ফলে সেই লক্ষ্য পূরণ হলে জনগণ ও দেশের জন্য তা কি প্রভাব রাখবে সেটি আগে থেকে অনুধাবন করা যায়। অপরটি হলো, জনগণ অর্থাৎ নেতা হতে হলে অবশ্যই জনগণকে তার অনুসারী হতে হবে এবং অনুসারী তৈরি করতে হলে অবশ্যই তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। একজন ভালো নেতার এমন কিছু গুণাবলী অথবা বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে সমাজের অন্যদের থেকে আলাদা করে। প্রথমত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, একজন ভালো রাজনৈতিক নেতা অবশ্যই দেশপ্রেমিক ও জাতীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হবে। তাকে তার দেশের স্বার্থের প্রতি সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকতে হবে যা তার দেশবাসীর উন্নয়নের প্রতি তার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি একজন ভালো নেতা সম্পূর্ণ আনুগত্য থাকা আবশ্যক। তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে জাতীয় স্বার্থকেই সমর্থন করতে হবে। জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যেকোনো ধরণের আপোষ তাকে অনতিবিলম্বে ভালো নেতাদের কাতারে অযোগ্য বলে বিবেচনা করবে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কখনোই ভালো নেতা হিসেবে বিবেচিত হবে না। কারণ তারা কখনোই জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। একজন ভালো নেতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো মানুষের প্রতি তার সহমর্মিতা ও সমবেদনা, অন্যদের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করতে পারা এবং অন্যদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে কর্মকাণ্ডের প্রতিজ্ঞা। ভালো রাজনৈতিক নেতাদেরকে অবশ্যই মানুষের দুঃখ-কষ্টের প্রতি সমব্যথী হতে হবে এবং এটি তাকে সে সকল কর্মকাণ্ড নির্ধারণে সহায়তা করে যেগুলো সকলের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা বয়ে আনতে পারে। ন্যায়পরায়নতা একজন ভালো নেতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এটি নৈতিকতা ও নীতিগত মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্যকে বোঝায় অর্থাৎ নৈতিক চরিত্রের দৃঢ়তাকে ইঙ্গিত করে এটি শ্রদ্ধাবোধের একটি সমার্থক শব্দ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একজন নেতার অবশ্যই তার অনুসারীদের ভরসা অর্জন করতে হবে যার জন্য মানসম্পন্ন ন্যায়পরাছুতার যথার্থতা বজায় রাখতে হবে। একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য নমনীয়তা হচ্ছে রাজনীতির দেওয়া-নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটা বুঝতে পারা এবং একটি সর্বজনীন ক্ষেত্র খুঁজে বের করা। ভালো রাজনীতিকরা ধৈর্যের সঙ্গে একটি দ্বন্দ্বে জড়িত সকল পক্ষের কথা শুনে কিসের মাধ্যমে একটি ঐক্যমতে পৌঁছানো যাবে তা বোঝার ক্ষমতা রাখেন। দূরদর্শিতা ভালো নেতার আরেকটি জরুরি গুণ। কারণ তাকে দূরবর্তী সময়ে সমাজের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি আগে থেকেই অনুধাবন করতে হয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটি গুণ চলে আসে। আর তা হলো পরিকল্পনা করার সক্ষমতা। একজন নেতা যদি একজন ভালো পরিকল্পনাকারী না হয় বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাহলে তিনি দেশকে অথবা তার এলাকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। একজন ভালো নেতা হলেন সত্যবাদী, নিয়মনিষ্ঠ একজন দক্ষ সমঝোতাকারী। তিনি নিঃসংকোচে তার অনুসারীদের অথবা অন্য কোনো সম্পৃক্ত শ্রেণির সমর্থন হারাবার ভয় না করেই কঠিন সত্য বলার ক্ষমতা রাখবেন। তিনি নিয়মনিষ্ঠতার সঙ্গে জীবনযাপন করবেন এবং নিজের অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে কাজ করার সময়ে অবশ্যই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তার সমঝোতার জন্য আলোচনা করার স্বভাবসুলভ দক্ষতা থাকবে। এটি একজন ভালো নেতার বিশেষ গুণ। কারণ তাকে তার নির্বাচনী এলাকার লোকজনের মধ্যে বিদ্যমান অনেক দ্বন্দ্বের মীমাংসা করে এবং তাদেরকে প্রভাবিত করে একটি বৃহত্তর কল্যাণকর অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে, একজন ভালো রাজনৈতিক নেতার তার বিশ্বাস এবং দর্শন, নির্বাচনী এলাকা, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তাকে স্বার্থহীন হতে হবে। নির্বাচনী এলাকা ও দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের অবস্থার পরিবর্তন করাটাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। তার নিজের জন্য লাভজনক এমন কোনো পেশার সঙ্গে রাজনীতিতে আসার সময় থেকে তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না। রাজনীতিতে আসার জন্য তার পরিবারের অনুমতি নেওয়া উচিৎ। কারণ সে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পদ অথবা অবস্থান উন্নত করার জন্য আর কাজ করবে না বরং তার এলাকার জনগণের সম্পদ ও অবস্থার উন্নতির জন্যই শুধু কাজ করবে। সে তার সময়, কাজ ও সম্পদ শুধুমাত্র তার জনগণের কল্যাণে নিবেদিত করবে। তার এলাকাবাসীর সম্পদ বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পদও বৃদ্ধি পাবে না। এই সকল গুণাবলী মিলেই একজন ভালো রাজনৈতিক নেতা তৈরি হবে, যাকে আমাদের ভোট দেওয়া উচিৎ। কিন্তু আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারি, আজকের দিনে এমন নেতা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। আমাদের বেশিরভাগ নেতাই তাদের শক্তি, ত্রাস অথবা টাকার জোরে নেতা হয়েছেন এবং এটি আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ করেছে। একজন নেতার মাঝে আলোচিত গুণাবলীগুলো আছি কিনা, একজন ভোটার হিসেবে সেটি বিচার করা প্রায়শই খুব মুশকিল। কিন্তু ভোট করার আগে আমাদের কিছু ব্যাপার অবশ্যই দেখতে হবে। আমাদেরকে আমাদের নেতাদের শিক্ষা ও দক্ষতা বিবেচনা করতে হবে। তাদের অবশ্যই কোনো প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। যদি আমাদের চাকরির বাজারে আজকাল মোটামুটি সকল ভালো চাকরির জন্য প্রার্থীদের এই পর্যায়ের শিক্ষা চেয়ে থাকে, তবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ জাতীয় সংসদ সদস্য এর থেকে কম শিক্ষায় চলতে পারে না। তাদের অবশ্যই বিশেষায়িত ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। অন্যথায় বাজেট আন্তর্জাতিক প্রকল্প ইত্যাদি সে বোঝতে পারবে না এবং সেগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে ও সুচারুভাবে কার্যকরী করতে ব্যর্থ হবে। যেহেতু তাদেরকে দেশে ও দেশের বাইরে অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন কাজে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা করতে হবে, সেহেছু তাদের ভালো রাজনৈতিক দক্ষতাও থাকা প্রয়োজন। আমাদের নেতাদের মাঝে এই গুণাবলীগুলো মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত এবং এর ফলে আমাদেরকে নানানভাবে ভুগতে হয়। সমাজের কল্যাণে নেতাদের পূর্বের কর্মকাণ্ডও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। কারণ, এগুলো সমাজ ও সম্প্রদায়ের প্রতি তার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। যদি সে তার নিজের জন্য নয় বরং সমাজের জন্য লাভজনক কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক অথবা সামাজিক কর্মকাণ্ডে আগে থেকেই জড়িত থাকে তবে আমাদেরকে সেটি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। পূর্বের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব মেটাতে তার কি ভূমিকা ছিল সেটিও পর্যবেক্ষণ করা দরকার। কারণ এগুলো তার ন্যায়পরায়ণ আচরণ ও সমাজ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বিষয়ে তার যুক্ত হবার ইচ্ছাকে তুলে ধরে। যদি সে অতীতে সমাজের কল্যাণে কাজ না করে থাকে অথবা সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শন না করে তবে, নির্বাচিত হওয়ার পরও সে এ কাজগুলো করবে না। তাই নেতা নির্বাচনে আমাদের এই বিষয়গুলোও বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর রাজনৈতিকভাবে বেড়ে উঠার ইতিহাসটাও পর্যালোচনা করা দরকার। এর মাধ্যমে তার দর্শন, পূর্বের সম্পৃক্ততা, অতীত কর্মকাণ্ড এবং তার রাজনৈতিক গুরুদের অবস্থান সম্পর্কেও জানা যায়। উদাহরণস্বরূপ, সে কোনো সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী দর্শন লালন করে কিনা সেটি এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সে আসলে কোথা থেকে এসেছে তা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, একজন নির্বাচনী প্রার্থীর দুর্নীতির ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করা। যদি সে কোনো দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে থাকে, তবে তার অবশ্যই একজন ভালো নেতার বেশিরভাগ গুণগুলোর অভাব রয়েছে এবং অবশ্যই তাকে নির্বাচনের দৌঁড় থেকে বাতিল করতে হবে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ব্যাপার যে, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা কখনোই অন্যদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে না এবং এর কোনো ব্যতিক্রম হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের মান নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের কিছু পূর্বনির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে। কিন্তু সেগুলো একজন ভালো নেতার বেশিরভাগ গুণাবলীকেই তুলে ধরতে পারে না। তাই ভালো প্রার্থী যেনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, সেটির দায়িত্ব জনগণের কাঁধেই বর্তায়। এজন্য জনগণকে শুধুমাত্র ভালো ও সুযোগ্য প্রার্থীদেরকেই ভোট দিতে হবে। গণতন্ত্রে, আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলি। কিন্তু ভোট দিয়ে এমন একজন নেতাকে নির্বাচন করার কোনো মানে হয় না যে কিনা জনগণের অথবা দেশের স্বার্থে কাজ করবে না অথবা কাজ করার যোগ্যতাই রাখে না। এ ধরণের প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করে আমরা শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যতকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবো। আমাদেরকে তাই এ ধরণের প্রার্থীদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের জনগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত এবং রাজনৈতিকভাবে অজ্ঞ। তাই কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার দরুণ অথবা প্রার্থীর ত্রাসের ভয়ে একজন ভুল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার যে খারাপ ফল হতে পারে সেটি তারা অনুধাবন করতে পারে না। শুধুমাত্র যখন আমাদের কাছে পরিষ্কার পেছনের কর্মকাণ্ড ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক ইতিহাসসম্পন্ন ভালো রাজনৈতিক নেতা প্রার্থী হিসেবে থাকবে, তখনই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যথায় অজ্ঞ ও অবিবেচকের মতন ভোট দেওয়াটা আমাদের দেশের জন্য শুধুমাত্র দরবস্থা ও অস্থিতিশীলতাই তৈরি করবে। তাই আমরা যেন আমাদের ভোটের অধিকার ব্যবহার করে ভালো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতা নির্বাচিত করতে পারি সেই নিমিত্তে আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আমরা গুণসম্পন্ন ও সুযোগ্য প্রার্থী দাবি করি। শুধুমাত্র তাহলেই, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে আমরা টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। যদি আমরা সেটি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে অচিরেই অর্জন করে বিশ্ব দরবারে আমরা আমাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত, সুদৃঢ় ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে পারবো এবং এ লক্ষ্যেই প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকা উচিৎ। মীর মোশাররেফ হোসেন পাকবীর: ভাইস চেয়ারম্যান, ডেমোক্রেসি রিসার্চ সেন্টার (ডিআরসি)। |